হারাম শব্দের অর্থ কি | হারাম সমূহ কত প্রকার কি কি এবং হারামের সংখ্যা
হারাম শব্দের অর্থ: নিষিদ্ধ করা কে ব্যবহার করা হয়।
হারাম শব্দের অর্থ কি
হারাম শব্দটি হল একটি আরবি শব্দের পরিভাষা।
হারাম শব্দটির অর্থ হিসেবে নিষিদ্ধ করা কে ব্যবহার করা হয়।
হারাম শব্দের প্রধান অর্থ হলো মন্দ কাজ, খারাপ কাজ,
আল্লাহতালা যেসব কাজ মানুষদেরকে করতে নিষেধ করেছেন সেগুলোকে হারাম কাজ বলে বিবেচনা করা হয়।
তাছাড়া হারাম কাজ মানেই হল খারাপ কাজ মন্দ কাজ,, আল্লাহ তা'আলা করতে মানুষজনকে নিষেধ করেছেন।
অর্থাৎ সকল নিষিদ্ধকৃত কাজগুলোকে হারাম কাজ বলা হয়।
হারাম শব্দের অর্থ সমূহ -
- মন্দ,,,
- নিষিদ্ধ,,,
- অসংগত,,,,
- অপবিত্র,,,,,
- অনুচিত, ,,,,
- বর্জনীয়,,,
- পরিত্যাজ্য,,, ইত্যাদি

হারামের সংঙ্গা উদাহরণ ব্যাখ্যা কর
পৃথিবীতে আল্লাহ তায়ালা সৃষ্টি জগতের সকলকে যে সকল কাজ করতে নিষেধ করেছেন অথবা যে সকল কাজের প্রতি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন সকলকে হারাম বলা হয়।
একজন মানুষ অন্যের থেকে কোন কিছু চুরি করে নিলে সেটা হারাম।
কাউকে না জেরিয়ে কারো কোনো খাবার খেয়ে নেয়া বা,আত্মসাৎ করা হলে তাকে হারাম বলে বিবেচনা করা হয়।
আল্লাহ তায়ালা মিথ্যা কথা বলা, ভন্ডামি করা,, কপটতা করা ইত্যাদি সমূহ কে হারাম বলে ঘোষণা করেছেন।
বহুল প্রচলিত সুদ,, যা আল্লাহ তাআলা নিষেধ করেছে।
সুদ গ্রহণ করাকে আল্লাহ তা'আলা মৃত ভাইয়ের গোস্ত খাওয়ার স্বভাব তুলনা বিবেচনা দিয়েছেন।
একটি মিথ্যা কথা থেকে হাজারগুলো মিথ্যা কথা বলার সূচনা বলা হয়,, মিথ্যা কথা বলা থেকে সর্বদা দূরে থাকা কর্তব্য।
আমানতের খেয়ানত করা যা হারাম কাজের অন্তর্ভুক্ত।
হারাম কত প্রকার ও কি কি
শরীয়ত মোতাবেক ও ইসলামিক জীবন বৃত্তান্তে দুই ভাগে ভাগ করা যায়।
১. অপবিত্র হারাম,
২. মসজিদুল হারাম
অপবিত্র হারাম :
আল্লাহ তায়ালা ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে সকল কাজগুলোকে,, ছরি পরিত্য ও অপবিত্র বলে ঘোষণা করেছেন সেগুলোকে অপবিত্র হারাম বলা হয়।
মসজিদুল হারাম :
মসজিদুল হারাম বলতে পবিত্রতা সম্পর্কে সতর্ক করা হয়েছে,, আর পবিত্র স্থানসমূহ নামাজের স্থান,, কথা মসজিদে কোন ধরনের হারাম কাজ করা যাবে না।
এই শব্দটির মাধ্যমে পোস্টিতভাবে পবিত্রতা ঘোষণা করা হয়েছে।
মৃত জীবজন্তু ভক্ষণ করাকে আল্লাহ তায়ালা হারাম বলে ঘোষণা করেছেন।
কোন পশুকে জবে না করে সরাসরি হত্যা করার পরে ওই পশুর গোশত বক্ষন করা হারাম।
শুকুরের মাংস খাওয়া ঘোড়ার মাংস খাওয়া ইত্যাদি হারাম।
এত জীবজন্তু সাপ, বিচ্ছু ইত্যাদির মাংস খাওয়া পবিত্র কুরআনে হারাম বলে ঘোষণা করা হয়েছে।
অ্যালকোহল নেশা জাতীয় দ্রব্য ইত্যাদি গ্রহণ করাকে, হারাম বলা হয়েছে।
মানুষ যদি অন্য কোন মানুষের মাংস ভক্ষণ করে তাহলে তা হারাম।
পৃথিবীর বিভিন্ন ধরনের হিংস্র পশু পাখির গোস্ত ভক্ষণ করা হারাম। যেমন,,
- ভাল্লুক,
- ঈগল,
- সিংহ ইত্যাদি।
তাই প্রত্যেক মুসলমানের হালাল কাজসমূহ এবং খাবার সমূহ বর্জন করা উচিত।
আর পড়ুন :জাজিরাতুল আরব অর্থ কী ও কাকে বলে